• ঢাকা
  • বুধবার:২০২৪:এপ্রিল || ১৮:১৬:২১
প্রকাশের সময় :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
৭:১৭ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
৭:১৭ পূর্বাহ্ন

২১৬ বার দেখা হয়েছে ।

কৃষিসেচ ড্রেন সচলে দাবি

কৃষিসেচ ড্রেন সচলে দাবি

নির্মাণাধীন টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া জাতীয় মহাসড়কের নীচ দিয়ে থাকা কৃষিসেচ ড্রেনগুলি সচল রাখার দাবি জানিয়েছে ওই সড়ক সংলগ্ন জমিতে বোরো আবাদকারী কৃষকেরা। রাস্তার নির্মান কাজের সময়ে এসব ড্রেন বন্ধ করে দিলে ওই সড়কটির কয়েক হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবে। কারন এসব ড্রেনের মাধ্যমে নদী থেকে পানি সেচ দিয়ে বোরা চাষ করে থাকে স্থানীয় কৃষকরা। যে কারনে রাস্তার নীচ দিয়ে থাকা ড্রেনগুলি রাস্তা নির্মানের সময়ে বন্ধ হয়ে গেলে সেখানকার চাষীরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। আর তাই ড্রেন বাঁচাতে কৃষকরা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর ও সড়ক বিভাগে লিখিত আবেদন করেছে।

 

নির্মানাধীন টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কটিতে গিয়ে দেখাযায় ৪৪ কিলোমিটার দৈষ্যৈর এই সড়টির এক পাশে মধুমতি নদী অন্যপাশে ফসলের মাঠ। সড়কটির চামটা, বানিয়ারচর, সাতপাড়, বৌলতলীসহ বিভিন্ন স্থানে রাস্তার নীচ দিয়ে বিএডিসির ড্রেন রয়েছে। এই ড্রেনের মাধ্যমে কৃষকরা নদী থেকে পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করে থাকেন। রাস্তার নির্মান কাজের সময়ে এসব ড্রেন বন্ধ হলে সড়কটি পাশের কয়েক হাজার হেক্টর জমির চাষাবাদ ব্যাহত হবে।

 

স্থাণীয় কৃষক বিনয় মল্লিক, শিশির মোহন্ত, অনীল মন্ডল, দীলিপ গাইন, কংকন বারুরী বলেন, গোপালগঞ্জে কোন মিল, কল-কারখানা নেই। কৃষি কাজ করেই আমাদের ক্ষেতে হয়। আমরা কৃষি বিভাগ ও বিএডিসির সহযোগীতায় টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া সড়কের নীচ দিয়ে সরু ড্রেন নির্মান করে নদী থেকে পানি সেচ দিয়ে বোরো আবাদ করি। বছরে এই একটি মাত্র ফসলের উপর আমাদের জীবন যাপন। রাস্তার নীচের এই ড্রেন বন্ধ হলে আমাদের বেচেঁ থাকার একমাত্র অবলম্বন হারিয়ে যাবে। তারা গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসক, কৃষি বিভাগ ও বিএডিসির কাছে তাদের ড্রেন অক্ষত রাখার দাবী জানিয়েছে।

 

গোপালগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা; অরবিন্দ কুমার সরকার বলেছেন, এ ব্যাপারে কৃষকদের কাছ থেকে আমি একটি আবেদন পেয়েছি। সেটি আমি মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কাছে সরজমিন পরিদর্শন প্রতিবেদন চেয়ে পাঠিয়েছি। এরপর আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তবে, কৃসকের সেচকাজ যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা।

 

মুকসুদপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান বলেছেন, আমরা টেকেরহাট-গোপালগঞ্জ-ঘোনাপাড়া জাতীয় মহাসড়কের মুকসুদপুর ও সদর উপজেলার সীমান্তে চামটায় রাস্তার নীচ দিয়ে বিএডিসির ড্রেন পরিদর্শন করেছি। ড্রেনটি বন্ধ হলে কৃষকের কি পরিমান ক্ষতি হবে তার একটি হিসাব করে জেলা অফিসে প্রতিবেদন প্রেরন করবো। তবে বিএডিসি এ ব্যাপারে চুড়ান্ত পদক্ষেপ নেবেন।
নির্মানাধীন রাস্তার নীচ দিয়ে থাকা ড্রেনগুলি অক্ষত রাখার ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহন করবেন এমনটাই প্রত্যাশা জেলাবাসীর।