• ঢাকা
  • শুক্রবার:২০২৪:এপ্রিল || ১৮:৫৬:০৩
প্রকাশের সময় :
জুলাই ২৮, ২০২২,
৭:৫৪ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
জুলাই ২৮, ২০২২,
৭:৫৭ অপরাহ্ন

২৫৮ বার দেখা হয়েছে ।

ডলার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল

ডলার নিয়ে কারসাজি করলে লাইসেন্স বাতিল

সংকটের এই সময়ে ডলার নিয়ে কারসাজি করলে সংশ্লিষ্ট মানি এক্সচেঞ্জ-এর লাইসেন্স বাতিল করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) নতুন গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম।

মুখপাত্র বলেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণ জানতে গতকাল বাংলাদেশ ব্যাংকের ১০টি টিম মানি এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো পরিদর্শন করে। এসময় কিছু অনিয়ম চোখে পড়ে কেন্দ্রীয় ব্যংকের কর্মকর্তাদের।

তিনি বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ডলার নিয়ে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া গেলে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হবে। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

গভর্নরের সাথে সাক্ষাৎ শেষে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, ডলার নিয়ে যারা কারসাজি করেছেন বা করছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এছাড়া ঋণের বিপরীতে সুদের হার তুলে নেওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে তা আপাতত তুলে না নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ করা হয়েছে।

জসিম উদ্দিন বলেন, আমরা শুনছি অনেকে এখন শেয়ারবাজারের মতো ডলার কেনাবেচা করছে। ডলার কিনে বাজারে সংকট সৃষ্টি করছে। এটি বন্ধ করার দাবি জানিয়েছি আমরা।

এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন বলেন, বৈদেশিক মুদ্রাবাজার অস্থিরতার পেছনে যেসব ব্যবসায়ী ও ব্যাংক দায়ী তাদের খুঁজে বের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।

তিনি বলেন, আমরা একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতির মধ্যে আছি। এটা ওভারকাম করতে পারলে সবকিছু স্বাভাবিক হবে। এমন অবস্থায় সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের সহযোগিতা দরকার।

এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, অর্থনীতি নিয়ে যে আতঙ্ক তা অমূলক। বড় ধরনের কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই। আমাদের রিজার্ভ ভালো আছে। অনেক উন্নত দেশ থেকে অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক মজবুত আছে। তবে ডলারের দাম বাড়ার কারণে এলসি খুলতে সমস্যা হয়। এজন্য ব্যাংকগুলো যেন সজাগ দৃষ্টি রাখে।

আমদানি বেড়ে যাওয়া এবং প্রবাসী আয় কমার কারণে দেশে ডলারের সংকট সৃষ্টি হয়েছে। ফলে দিন দিন বাড়ছে এর দাম। ডলারের বিপরীতে ক্রমাগতভাবে পতন হচ্ছে টাকার মান।

ডলার মার্কেট স্বাভাবিক রাখতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে প্রতিদিনই ডলার বিক্রি করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার (২৮ জুলাই) প্রতি ডলার ৯৪ টাকা ৭০ পয়সা দ‌রে ৫০ দশমিক ৪০ মিলিয়ন ডলার ‌বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এক দিন আগেও এ দাম ছিল ৯৪ টাকা ৪৫ পয়সা। মে মাসের শুরুর দিকে ডলারের দর ছিল ৮৬ টাকা ৪৫ পয়সা। এ হিসাবে দেড় মাসের ব্যবধানে টাকার মান কমেছে ৮ টাকা ২৫ পয়সা। ত‌বে খোলা বাজারে এক ডলার বি‌ক্রি হ‌চ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১১১ টাকায়।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বৃহস্পতিবার ব্যাংকে নগদ ডলার ১০৬ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয়েছে। এর আগে গত রোববার খোলা বাজারে দর ছিল ১০৫ টাকা। বাজারে প্রথমবারের মতো ডলারের দাম ১০০ টাকার ঘর পেরিয়ে যায় গত ১৭ মে। মাঝে কমে আসলেও গত ১৭ জুলাই ফের ১০০ টাকা অতিক্রম করে।