• ঢাকা
  • বুধবার:২০২৪:এপ্রিল || ২৩:২৬:৫৮
প্রকাশের সময় :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
১২:৫০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ আপডেট :
এপ্রিল ১৪, ২০২২,
১২:৫০ অপরাহ্ন

২৬৪ বার দেখা হয়েছে ।

মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার

মার্চে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪৩ কোটি ডলার

আগের মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহে ধীর গতি থাকলেও মার্চে তা বেড়েছে। মার্চ মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১৪২ কোটি ৯৩ লাখ মার্কিন ডলার।

রবিবার (২৭  মার্চ) কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। রেমিট্যান্সের এ ধারা অব্যাহত থাকলে মার্চ মাস শেষে নতুন রেকর্ড গড়ার সম্ভাবনা আছে বলে মনে করছেন ব্যাংকাররা।

ব্যাংকারদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সারা বছরের মধ্যে দুই ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ অন্যান্য সময়ের চেয়ে বাড়ে। এর ধারাবাহিকতায় রমজান মাসকে সামনে রেখে দেশে নগদ টাকার চাহিদা বাড়ছে। নগদ টাকার যোগান দিতেই প্রবাসীরা তাদের আত্মীয়-স্বজনদের কাছে রেমিট্যান্স পাঠাচ্ছেন।

তারা আরও জানান, আগে প্রবাসীদের বৈধ পথে পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর প্রণোদনা ছিল ২ শতাংশ। অর্থাৎ ১০০ টাকা পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা দেওয়া হতো। চলতি বছরের শুরুতে এ প্রণোদনা ২ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে আড়াই শতাংশ করা হয়েছে। এতে তারা ১০০ টাকা পাঠালে প্রনোদনা পান ২ টাকা ৫০ পয়সা। ফলে, প্রবাসীরা বৈধ পথে অর্থ পাঠাতে উৎসাহ পাচ্ছেন।

২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৮ মাসের মধ্যে রেমিট্যান্স এসেছে জুলাইয়ে ১৮৭ কোটি ১৪ লাখ, আগস্টে ১৮১ কোটি, সেপ্টেম্বর মাসে ১৭২ কোটি ৬৭ লাখ, অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৮ লাখ, নভেম্বর ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ, ডিসেম্বরে ১৬২ কোটি ৯০ লাখ, জানুয়ারিতে ১৭০ কোটি ৪৪ লাখ এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ মার্কিন ডলার। অর্থবছরের জুলাই থেকে গত ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৮ মাসের মধ্যে ৬ মাসই রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছে, বেড়েছে ২ মাস। তবে, চলতি মাসে রেমিট্যান্স বাড়ার সম্ভাবনা আছে।

আগের অর্থবছরের জুলাই মাসে ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার, আগস্টে ১৯৬ কোটি ৩৯ লাখ, সেপ্টেম্বরে ২১৫ কোটি ১০ লাখ, অক্টোবরে ২১০ কোটি ২১ লাখ, নভেম্বরে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ, ডিসেম্বরে ২০৫ কোটি, জানুয়ারিতে ১৯৬ কোটি ১৯ লাখ এবং ফেব্রুয়ারিতে ১৭৮ কোটি ৫ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

উল্লেখ্য, ২০২০-২১ অর্থবছরে আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার। যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। ২০১৯-২০ অর্থবছর প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিল ১ হাজার ৮২০ কোটি ডলার।